হাদিসে সোনাপাতা সম্পর্কে বলা হয়েছে;আসমা বিনতে উমাইস (রা.) থেকে বর্ণিত,রাসুল পাক (সা.) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তুমি জুলাবের জন্য কী ব্যবহার কর? তিনি শিবরমের নাম বললেন। তখন রাসুল পাক (সা.) বললেন ‘এটা খুবই গরম।’ অতএব হজরত আসমা (রা.) পুনরায় আরজ করলেন, ‘আমি সোনাপাতা দ্বারা জুলাব নেই।’ তখন রাসুল পাক (সা.) এরশাদ করলেন, ‘যদি কোনো জিনিসের দ্বারা মৃত্যু থেকে রক্ষা পাওয়া যেতো,তবে তা সোনাপাতার দ্বারা পাওয়া যেতো।’ তোমরা অবশ্যই সোনাপাতা ব্যবহার করবে, কেনোনা এটা মৃত্যু ব্যতীত সব রোগের শেফাদানকারী মহৌষধ।’ – ( আত-তিরমিযী, হাদিস নং ২০৩১) ।
সোনা পাতা দেখতে অনেকটা মেহেদি পাতার মতোনই। শুকনা অবস্থায় হালকা হলুদ সোনালি বর্ণের হয়। এতে খনিজ, লবণ, ক্যালসিয়াম ও ফ্লাবিনয়েড নামে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক উপাদান রয়েছে, যা প্রধানত জোলাপ বা রেচক হিসেবে কাজ করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের মতোন রোগ রোধকরনে সোনা পাতা এক মহৌষধ হিসেবে কাজ করে থাকে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক নিরাময়ী সোনা পাতা গুড়ার আরও কিছু গুনাগুন ও উপকারিতাসমূহ :
নিরাময়ী সোনা পাতা গুড়ার উপকারীতা:
- সোনা পাতা গুড়ায় এনথ্রানয়েড নামের একটি উপাদান রয়েছে, যা হজম প্রক্রিয়াকে কার্যকর রাখতে সহায়তা করে।
- অন্ত্রের বাড়তি আবর্জনা পরিষ্কার করতে এবং রক্তকে পরিশুদ্ধ করতে সোনা পাতার গুড়ার তুলনা নেই।
- ইনোন সাইটোটক্সিক এবং কোষ পুনরুদ্ধার-এ রিজেনারেশনে উদ্দীপনা জাগায়, ডিটক্সিফিকেশন এবং পরিষ্কারক হিসেবেও কাজ করে সোনা পাতা গুড়া।
- সোনা পাতা গুড়া গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রোধ করতে সাহায্য করে।
- সোনা পাতা গুড়া অ্যান্টি-সেপটিক এবং অ্যান্টি-আলসার হিসেবে কাজ করে থাকে।
- ক্ষুধা ও শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে সোনা পাতা গুড়া।
- সোনা পাতা গুড়া রুচি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
- কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে সোনা পাতা গুড়া।
- সোনা পাতা গুড়া অর্শ রোগের প্রতিরোধক ও প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
- ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় ভালো কাজ করে সোনা পাতা গুড়া।
- সোনা পাতা গুড়া উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
- চুলকে নরম, সিল্কি এবং মজবুত করে সোনা পাতা গুড়া।
- সোনা পাতা গুড়া ত্বকের ইরিটেশন ও ব্রণ দূর করে।
ব্যবহারবিধি:
প্রণালী ১ : এই পাতা আস্ত অথবা গুঁড়া করে ব্যবহার করা যেতে পারে। যদি গুঁড়া ব্যবহার করা হয়, তাহলে এক বা দেড় চা-চামচ এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে চার-পাঁচ ঘণ্টা। এরপর সকালে খালি পেটে পান করতে হবে (দিনে ২০-৩০ গ্রাম এবং একবারের বেশি ব্যবহার করা ঠিক নয়)।
প্রণালী ২ : দুই কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ শুকনা পাতা অথবা নিরাময়ী সোনা পাতা গুড়া ফুটিয়ে এক কাপ পরিমাণ করে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে চায়ের মতো পান করতে হবে।
প্রনালী ৩ : প্রতিদিন ২০-৪০ মিলি গ্রাম নিরাময়ী সোনা পাতা গুঁড়া রাতে পাতা এক গ্লাস গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে আবার আল্প পরিমান গরম পানি তাতে মিশিয়ে চায়ের মত পান করতে হবে। সাথে ৩-৪ টি পাহাড়ি হরতকি গুরা দিলে ভালো হয়।
Note: পেট নরম হয়ে এলে বা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে গেলে এর ব্যবহার বন্ধ করে দিতে হবে।
সতর্কতা:
প্রদাহ,অ্যাপেন্ডিসাইটিস,অন্ত্রের ক্ষত ও যকৃতের ক্যান্সারের রোগীদের সোনা পাতা গুড়া ব্যবহার না করাই উত্তম।
Reviews
There are no reviews yet.